স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য কারাগারে 

  • বরিশাল প্রতিনিধি: | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য কারাগারে 

বরগুনা: মোটরসাইকেল কিনতে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

কারাগারে যাওয়া পুলিশের নাম শরীফ আল আমিন। তিনি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার চরকুশালা গ্রামের শরীফ মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। আল আমিনের বর্তমান কর্মস্থল ঢাকা মেট্রো রেল পুলিশ বিভাগে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকলে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আসামী শরীফ আল আমীনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো: মশিউর রহমান খান উভয় পক্ষের শুনানী শেষে শরীফ আল আমীনের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামী পুলিশ সদস্য শরীফ আল আমিন বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোশাররফ আকনের মেয়ে ফারজানা স্বর্নাকে বিয়ে করেন। অত্র মামলার বাদী ও ভিকটমের পরিবার কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। বিয়ের কয়েক দিন পর পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। বিয়ের একমাস পার না হতেই ২১ এপ্রিল তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনার পর বাদীর মা দেড় লাখ টাকা সংগ্রহ করে পুলিশ সদস্যকে আসতে বলেন। আসামী তার ভাইকে নিয়ে ২৪ এপ্রিল বিকালে শ্বশুর বাড়ি আসেন। ২৫ এপ্রিল দুপুরে খাবার পর বাদীর মা তার জামাতার হাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বলেন, বাবা আমার তো স্বামী নেই। আপাতত দেড় লাখ টাকা দিলাম, বাকি টাকা পরে দেব। এ সময় আসামি শরীফ আল আমীন বলেন, যৌতুক দিতে না পারলে আমরা চলে যাচ্ছি। এমন সময় মামলার বাদী স্বর্না তার স্বামীর হাত ধরলে শরীফ আল আমীন তাকে ধাক্কা দিয়ে দরজার ওপর ফেলে দেয়। এতে বাদী মারাত্মক জখম হন। বাদীকে তার মা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আসামিরা কেটে পড়ে। 

বাদী ফারজানা স্বর্ণা বলেন, বিয়ের দুই মাসের মধ্য আমার স্বামী মোটরসাইকেল কেনার জন্য আমার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি মামলা করলেও তার সঙ্গে আপোস হয়ে সংসার করতে চেয়েছি। আমার স্বামীকে ২ জুলাই আদালত আপোষের শর্তে জামিন দিয়েছিল। জামিনে গিয়ে আমার স্বামী আমার সঙ্গে আপোষ করেনি। আমি এখনো শরীফ আল আমীনের সঙ্গে সংসার করতে চাই।

এব্যাপারে আসামীর আইনজীবী মো. আহসান হাবিব স্বপন বলেন, আমার মক্কেল বাদীর কাবিনের সমূদয় টাকা দিয়ে আপোষ করতে চায়। কিছুদিন পর আমরা আবার জামিনের আবেদন করব। 

আইএ

Link copied!